নিজস্ব প্রতিনিধি | ২৫ জুলাই ২০২৫
বরিশালে চলমান গণআন্দোলন দমন করতে শাসক দলের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিলেও ছাত্রদের আন্দোলন থামানো যায়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছে বরিশালের আন্দোলনকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ঢাকার বাইরে থেকেও বরিশালে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। একাধিকবার হামলার শিকার হন তিনি, পুলিশি হেফাজতেও ছিলেন। তারপরও মাঠ ছাড়েননি।
এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ২০২৪ সালের ৯ জুন বরিশালের সরকারি বিএম কলেজ থেকে। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা—সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামতে শুরু করেন। শাসক দলের সন্ত্রাসী হামলা ও ভয়ভীতি সত্ত্বেও আন্দোলন থেমে থাকেনি।
১৬ জুলাই ছাত্রলীগকে বিএম কলেজ থেকে বিতাড়িত করা হয়। আন্দোলন তখন আরও সংগঠিত হতে থাকে, গেরিলা কৌশলে। ১৭ জুলাই চৌমাথা ও নথুল্লাবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। কারফিউ জারি হলেও আন্দোলন থামেনি।
৩১ জুলাই বরিশালে “মার্চ ফর জাস্টিস” কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার পর লাখো মানুষ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়। ৫ আগস্ট বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছাত্র-জনতার জাগরণে সরকার পতন ঘটে।
নাহিদ বলেন, আন্দোলনের পেছনে ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর এখনো সেই স্বপ্ন পুরোপুরি পূরণ হয়নি। তিনি আহ্বান জানান, যেন কেউ মতপ্রকাশের কারণে হুমকির শিকার না হয় এবং সবাইকে নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ