নিজস্ব প্রতিবেদন |১৩ আগস্ট ২০২৫,বুধবার
বাংদেশেরলাদেশে বর্তমানে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ২১ লাখ ৭৯ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বিরাট সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, এই মজুদের পরিমাণ দেশের নিরাপদ খাদ্য মজুদের ন্যূনতম সীমা ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন এর চেয়ে অনেক বেশি, যা সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতিকে প্রতিফলিত করে।
সরকার বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে, বর্তমান মজুদের এই বৃদ্ধি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। খাদ্য মজুদের এই অভাবনীয় পরিমাণের ফলে দেশের যে কোন প্রাকৃতিক বা আর্থ-সামাজিক দুর্যোগের সময় খাদ্য সংকট থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
সেই সঙ্গে, এই বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আগামী ১৭ আগস্ট থেকে আবার শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি বছর এই কর্মসূচির আওতায় মোট ৫৫ লাখ পরিবারে চাল বিতরণ করা হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ লাখ পরিবার বেশি। প্রত্যেক পরিবারকে মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাওয়া যাবে, যা দেশের গরিব ও খাদ্য সংবেদনশীল মানুষদের জন্য বিশেষ উপকার হবে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রথম ধাপ আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিরতি দিয়ে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। এই পুরো কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টন চাল দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও দৃঢ় হবে এবং গরিব মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
খাদ্য মজুদের এই পরিমাণ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে এবং খাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন। সরকারের এসব পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।
সরকারি সূত্র মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং দেশের সামগ্রিক খাদ্য অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থা সুসংহত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে খাদ্য মজুদের এই রেকর্ড সংখ্যাটি দেশের খাদ্য নীতিমালা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক নতুন মাইলফলক। আগামী দিনে এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে দেশের খাদ্য সংকট সমস্যা অনেকাংশেই কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
তারেক রহমানকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল।
0 মন্তব্যসমূহ