নিজস্ব প্রতিবেদন |১৭ আগস্ট ২০২৫,রবিবার
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার পরই ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আসছে আরেকটি রোমাঞ্চকর আসর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ। দুই দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই ক্রিকেট ভক্তদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের বিষয়। এ সিরিজে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি—দুই ফরম্যাটেই তিনটি করে মোট ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে একটানা প্রায় দুই সপ্তাহজুড়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট উৎসব।
টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর, আর চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গ্রুপ–‘বি’ ম্যাচে ১৬ সেপ্টেম্বর একে অপরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সেই ম্যাচের উত্তেজনা শেষ হতে না হতেই আবারও মাঠে নামবে দুই দল। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২ অক্টোবর। 👉 আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড
পরবর্তী দুটি ম্যাচ হবে ৪ ও ৬ অক্টোবর। এরপর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ—৯, ১১ ও ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। 👉 ICC অফিসিয়াল ফিক্সচার
এ সূচি থেকেই বোঝা যায়, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়টা বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য হবে দারুণ ব্যস্ত ও রোমাঞ্চকর। একদিকে এশিয়া কাপের লড়াই, অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ—সব মিলিয়ে টানা ক্রিকেট বিনোদনের উৎসব।
সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এটি দুই দলের জন্যই বিশেষ অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। মরুর দেশে ক্রিকেট আয়োজন নতুন কিছু নয়, তবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের জন্য এটি এক ভিন্ন মাত্রার সুযোগ।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাসীব খান বলেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজ আয়োজন করতে পারা তাদের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর ভাষায়, “এটি আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও মানসম্মত ক্রিকেট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি উদাহরণ হবে।” 👉 বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB)
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা গত কয়েক বছরে বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। আফগানিস্তান এখন শক্তিশালী স্পিন আক্রমণের জন্য বিখ্যাত, অন্যদিকে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়ানডে ফরম্যাটে ধারাবাহিক সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে।
টি–টোয়েন্টি সিরিজে রশিদ খান, মুজিব উর রহমান কিংবা নবী-দের মতো অভিজ্ঞ তারকা খেলোয়াড়দের মোকাবিলা করতে হবে লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহদের।
অপরদিকে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব থাকবে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
স্টেডিয়ামে সরাসরি উপস্থিত দর্শক ছাড়াও টিভি ও অনলাইন সম্প্রচারের মাধ্যমে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী চোখ রাখবে এই সিরিজে। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশি ও আফগানিস্তানি দর্শকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠগুলো হয়ে উঠতে পারে উৎসবমুখর। 👉 ESPN Cricinfo | 👉 Cricbuzz
এ সিরিজ শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, দুই দলের জন্যই এটি হবে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতির আদর্শ সুযোগ।
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ছক্কার সুনামি, রেকর্ড ভাঙার পথে ২০২৫
নিউজিল্যান্ডের ঐতিহাসিক ইনিংস একই টেস্টে তিন ব্যাটারের দেড়শ পেরোনো রেকর্ড।
0 মন্তব্যসমূহ